রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০১৭

সাগরতলে মিলল যুদ্ধজাহাজের ধ্বংসাবশেষ

[ইন্ডিয়ানাপলিস নামের সেই মার্কিন যুদ্ধজাহাজ। পার্ল হারবারে অবস্থানকালে ১৯৩৭ সালের ছবি এটি। ছবি: এএফপি]


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের টর্পেডোর আঘাতে প্রশান্ত মহাসাগরে ডুবে যাওয়া মার্কিন যুদ্ধজাহাজের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছেন গবেষকেরা। গতকাল শনিবার মার্কিন নৌবাহিনী এ কথা জানিয়েছে।
ওই যুদ্ধজাহাজটির নাম ইন্ডিয়ানাপলিস। ১৯৪৫ সালের ৩০ জুলাই উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে একটি জাপানি ডুবোজাহাজ থেকে টর্পেডোটি ওই মার্কিন যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে ছোড়া হয়। জাহাজটি ডুবে মহাসাগরে ১৮ হাজার ফুটেরও বেশি নিচে চলে যায়। মার্কিন জাহাজটি পরমাণু বোমার বিভিন্ন সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়ার মিশন শেষ করে ফিরছিল। যে পরমাণু বোমাটি এর কিছুদিন পরই জাপানের হিরোশিমা শহরে নিক্ষেপ করা হয়।
ওয়াশিংটনে ন্যাভাল হিস্ট্রি অ্যান্ড হেরিটেজ কমান্ডের তথ্য অনুযায়ী, আঘাত হানার ১২ মিনিটের মধ্যে জাহাজটি ডুবে যায়। জাহাজটিতে থাকা এক হাজার ১৯৬ জন ক্রু সদস্যের মধ্যে প্রায় ৮০০ জন ডুবে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পান। তাঁরা পানিতে ভেসেছিলেন। তবে পাঁচ দিন পর মাত্র ৩১৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। অন্যদের মধ্যে কেউ পানি শূন্যতায়, কেউ অনাহারে, কেউ হাঙরের আক্রমণে, কেউবা ডুবে মারা যান।
ডুবে যাওয়ার আগে জাহাজটি কোথায় অবস্থান করছিল সে বিষয়ে ২০১৬‍ সালে নতুন তথ্য পান মার্কিন নৌবাহিনীর একজন ইতিহাসবিদ। এরপর মাইক্রোসফটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য পল অ্যালেনের নেতৃত্বে গবেষকদের একটি দল প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝে দেড় হাজার বর্গ কিলোমিটার জায়গা চিহ্নিত করে সাগরের গভীরে পাঠানো যায় এমন সব সরঞ্জাম নিয়ে তল্লাশি শুরু করে। গত শুক্রবার তারা জাহাজটির ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পায়।


শত কোটি ছাড়িয়েছে আয়

অক্ষয় কুমারের ছবি ‘টয়লেট : এক প্রেম কথা’র আয় শত কোটি রুপি ছাড়িয়েছে। গত শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন ছবির পরিচালক। মুক্তির অষ্টম দিনে ছবির আয় শত কোটি রুপি ছাড়িয়ে যাওয়ার অর্থ, যে বার্তা দিতে নির্মিত হয়েছে ‘টয়লেট’, মানুষের কাছে সেই বার্তা পৌঁছাচ্ছে। ছবির এ সাফল্যে উদ্বেলিত অক্ষয়ের স্ত্রী টুইঙ্কেল খান্না করেছেন এক মজার মন্তব্য। বলেছেন, ‘টিকিট কেটে দেখার মতো ছবি “জগগা জাসুস”, “জাব হ্যারি মিট সেজাল” যথেষ্ট সাড়া পায়নি। সেখানে “টয়লেট : এক প্রেম কথা”-এর এই সাফল্যে বক্স অফিসের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হলো।’
‘এয়ারলিফ্ট’, ‘হাউসফুল থ্রি’, ‘রুস্তম’, ‘জলি এলএলবি টু’ ছবিগুলোর পর অক্ষয়ের সোনার তরির পালে হাওয়া লাগাল ‘টয়লেট’। ছবি ব্যবসা বিশ্লেষক তরণ আদর্শ বলছেন, শাহরুখ খানের ছবির পরে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রোজগার।
ছবি শত কোটি আয়ের আনন্দে টুইট করেছেন ছবির নায়িকা ভূমি। লিখেছেন, ‘আজ একটি বিশেষ দিন এবং ধন্যবাদ দেব দর্শকদের, যারা আমাদের সঙ্গে হেসেছেন, কেঁদেছেন। শ্রী স্যারকে ধন্যবাদ আমাকে ছবিতে নেওয়ার জন্য।’
শ্রী নারায়ণ সিং পরিচালিত এ ছবিতে অক্ষয় কুমার ও ভূমি পেড়নেকার ছাড়াও অভিনয় করেছেন অনুপম খের

এক ছাদের নিচে অর্ধেক বলিউড

একেই তো বলে ‘শেষ ভালো যার সব ভালো তার’। মনীশ মালহোত্রার জমকালো পরিবেশনার মধ্য দিয়ে ইতি টানা হলো ল্যাকমে ফ্যাশন উইকের এবারের মৌসুমের। সেখানেই বসেছিল তারার হাট। অর্ধেক বলিউড এসে ভিড় জমিয়েছিল রানওয়ের ধারে। তরুণ প্রজন্মের বলিউড তারকাদের পাশাপাশি গুণী শাবানা আজমি, শ্রীদেবী, কারিশমা কাপুর আর মনীশের কাছের বন্ধু করণ জোহরও গতকাল রোববার রাতে হাজির হন মুম্বাইয়ের সেন্ট রেজিস হোটেলে ল্যাকমে ফ্যাশন উইকের সমাপনী আয়োজনে।
সময় রাত সাড়ে নয়টার দেওয়া হলেও গতকাল রাতে রেড কার্পেট আর ‘আফটার-শো পার্টি’ শেষ করে সমাপনী অনুষ্ঠান শুরু হয় রাত সাড়ে ১০টায়। এ রাতে বলিউডে তরুণ প্রজন্মের বেশির ভাগ তারকাকেই পাওয়া গেছে দর্শকসারিতে। টাইগার শ্রফ, সুরজ পাঞ্চোলি, নিধি আগারওয়াল, দিশা পাটানি, রিচা চাড্ডা দর্শকসারিতে বসে হয়েছেন খবরের শিরোনাম। অন্যদিক খানিক ‘সিনিয়র’ দিয়া মির্জা, সোনালি বেন্দ্রে, অমৃতা অরোরা সিংও নতুনদের চেয়ে পিছিয়ে ছিলেন না কোনো অংশে।
তবে এ আসরে বারবার ঘুরেফিরে নজরে পড়েছে বলিউডের হবু দুই তারকার উপস্থিতি। একজন হলেন শ্রীদেবী ও বনি কাপুর-কন্যা জাহ্নবী কাপুর, অন্যজন শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খান। শাহরুখের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মনীশের শোয়ে আরিয়ানের উপস্থিতি অনেকটা কাম্য হলেও রাজকন্যা সাজে জাহ্নবীর সরব উপস্থিতি এ সময়ের অভিনেত্রীদের মুখ করে দিয়েছিল ফ্যাকাশে।
র‍্যাম্পে মনীশ মালহোত্রা এবার নিয়ে এসেছেন তাঁর ককটেল কালেকশন। এগুলো মূলত পশ্চিমা ধাঁচের পোশাক। ছেলে ও মেয়ে উভয়ের জন্যই ছিল মনীশের সংগ্রহে সমান গুরুত্ব। র‍্যাম্পে শোস্টপার হিসেবে অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ ও আদিত্য রয় কাপুরের সমানে সমান এগিয়ে চলা দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে গুরুত্বের সমবণ্টনের বিষয়টি!
বরাবরই বলিউডের প্রথম সারির তারকা শাহরুখ, সালমান, ঐশ্বরিয়াকে শোস্টপার হিসেবে র‍্যাম্পে হাঁটানো মনীশ এবার কেন বেছে নিলেন জ্যাকুলিন ও আদিত্যকে? অনুষ্ঠান-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রথম আলো এই প্রশ্ন রেখেছিল মনীশের সামনে। জবাবে বলিউডের প্রিয় এই ডিজাইনার প্রথম আলোকে বলেন, ‘যখনই ককটেল পার্টির পোশাক নিয়ে কাজের প্রস্তাব পাই, তখনই মনে হয়েছিল, শোস্টপার হিসেবে একটা প্রাণবন্ত, আত্মবিশ্বাসী আর আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব চাই। তখন জ্যাকুলিনের কথাই সবার আগে মনে পড়েছে। আর ছেলেদের ককটেল ড্রেসের জন্য মাথায় ছিল কে ভালো ভেলভেটের কাপড়ের স্যুট, ফুলেল নকশা আর পৌরুষের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে। অবশ্যই সুদর্শন আদিত্য। তাই এই কালেকশনের জন্য এ দুজন ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না।’

কম দরে গবাদিপশু বেচে দিচ্ছে কৃষক

বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে ঘরবাড়ি। গোয়ালঘরেও হাঁটুপানি। বাঁধে ও আশ্রয়কেন্দ্রে গাদাগাদি করে আছে মানুষ। দুবেলা খাবার, বিশুদ্ধ পানির সংকট তো আছেই। নতুন সংকট গবাদিপশু নিয়ে। মানুষেরই থাকা-খাওয়ার জো নেই; গরু-ছাগলগুলো রাখবে কোথায়, খাওয়াবে কী? বন্যাদুর্গত, অভাবী মানুষ তাই গৃহপালিত পশু বেচে দিচ্ছেন। ঈদুল আজহার আগে নিতান্ত কম দামে বিক্রি করে দিচ্ছেন গরু-ছাগল।
কৃষক বলছেন, বন্যায় খড়কুটো নষ্ট হয়ে গেছে। মাঠগুলো পানিতে তলিয়ে আছে। গোখাদ্যের তাই তীব্র সংকট। পশুগুলো বাঁচিয়ে রাখাই দায়। তাই তাঁরা বাধ্য হয়ে কম দামে গবাদিপশু বিক্রি করে দিচ্ছেন।
গত শনিবার সকালে গাইবান্ধার বন্যাকবলিত চারটি ইউনিয়ন, বাঁধ ও কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে গরু-ছাগল নিয়ে তাঁদের দুর্ভোগের চিত্র পাওয়া গেল। কৃষকেরা জানালেন, ১৩ আগস্ট থেকে বন্যা শুরু হয় এই জেলায়। শনিবারও ঘরবাড়ি, গোয়ালঘরে হাঁটুপানি ছিল।
গাইবান্ধার সদর উপজেলার মোল্লারচর ইউনিয়নের চিথুলিয়াদিঘর গ্রামের কৃষক চান মিয়া (৫০) বললেন, ‘প্রতিবছর ঈদুল আজহার পরে ছোট আকারের গরু কিনে রাখি। সারা বছর লালন-পালন করে পরের বছর ঈদুল আজহার দু-তিন দিন আগে বিক্রি করি। যা আয় হয়, তা দিয়ে সংসারের দায়দেনা মেটাই। কিন্তু এবার ঈদের আগে বাড়িতে বন্যার পানি। গরু রাখার জায়গা নাই। তাই তিন দিন আগে ১ লাখ ১৯ হাজার টাকায় দুটি গরু বিক্রি করে দিয়েছি। অথচ গরু দুটি ঈদের দুই দিন আগে বেচলে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় বেচা যেত।’
মোল্লারচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, এই ইউনিয়নের চারদিকে ব্রহ্মপুত্র নদ। বর্ষায় পানি ও শুকনো মৌসুমে নদী ভাঙে। এখানকার চরে ভুট্টা, বাদাম ও গাঞ্জিয়া ধান ছাড়া অন্য ফসল তেমন হয় না। তাই এই ইউনিয়নের বেশির ভাগ মানুষ গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি লালন-পালন করে সংসার চালায়। কিন্তু এবার ঈদের আগে বন্যা এসেছে। তাই রাখার জায়গা ও গোখাদ্যের অভাবে গরু-ছাগল বিক্রির হিড়িক পড়েছে। সাদুল্যাপুর হাটের ইজারদার ফারুক হোসেন বলেন, সাধারণত ঈদুল আজহার তিন-চার দিন আগে থেকে বেচাকেনা জমে। কিন্তু এ বছর ঈদের ১৫ দিন আগে থেকেই হাটে গরু-ছাগল আসতে শুরু করেছে। বন্যার কারণে এটা হচ্ছে।
দিনাজপুরের বন্যাদুর্গত চিরিরবন্দর, বিরল, খানসামা, বীরগঞ্জ, কাহারোল ঘুরে গরু বিক্রির হিড়িক লক্ষ করা গেছে। ‘বানোত জমিজমা ডুবে তো সব শেষ। ঘাস নাই। খেড়ও পাওয়া যাছে না। হাতোত তো এখন টাকাপয়সা কিছু নাই। মাথা গোঁজার ঠাঁই তো বানবা লাগবে। শেষ সম্বল গরুটা তাই বেচে দেনো।’ শনিবার দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের দ্বিতীয় বৃহত্তম গরুর হাট করেন্টের হাটে কথাগুলো বলছিলেন উপজেলার আউলিয়া পুকুর গ্রামের মমিনুল ইসলাম (৬০)।
চিরিরবন্দর উপজেলার আমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর ইসলাম বলেন, গত শুক্রবার ছিল দিনাজপুরের বৃহত্তম পার্বতীপুর উপজেলার আমবাড়ী গরুর হাট। দুপুরের পর তিনি লক্ষ করেন, বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোকজন ভটভটিতে করে আমবাড়ী হাটে গরু নিয়ে যাচ্ছে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি।
জামালপুরের সাতটি উপজেলা বন্যাকবলিত। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গোটা জেলায় ১১ হাজার ৬১৯ জন কৃষক পারিবারিকভাবে ৬ লাখ ৬৫ হাজার ৮২০টি গরু-মহিষ লালন-পালন করছেন। এসব গরু কোরবানির ঈদে বিক্রি করা হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ওই সব গরুর বেশির ভাগ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশি দাম পাওয়ার আশায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। বন্যায় গরু বাঁচিয়ে রাখা এখন খামারিদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। স্থানীয় কয়েকটি হাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত শুক্রবার থেকে বিভিন্ন হাটে বিক্রির জন্য প্রচুর গরু উঠেছিল। তবে ক্রেতা ছিলেন না খুব একটা। দু-একজন ক্রেতা থাকলেও গরুর দাম অনেক কম বলছেন। জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া গরুর হাটের ইজারাদার ফজলুল হক বলেন, গত শুক্রবারের হাটে প্রচুর গরু উঠেছে। পুরো মাঠ গরুতে ভরে যায়। তবে কোনো ক্রেতা ছিল না। মাত্র তিনটি গরু বিক্রি হয়েছে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন শাহাবুল শাহীন, গাইবান্ধা; আব্দুল আজিজ, জামালপুর ও এ এস এম আলমগীর, বিরামপুর (দিনাজপুর)] [ঈদুল আজহার দু–তিন দিন আগে পশুর হাটে সাধারণত এমন ভিড় দেখা যায়। কিন্তু এবার বন্যার কারণে অভাবী কৃষক কম দামে গবাদিপশু বিক্রি করে দিচ্ছেন। ছবিটি গত শনিবার দিনাজপুরের চিরিরবন্দর কারেন্টের হাট থেকে তোলা l ]

মাশরাফি-সাকিব-তামিমদের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ কী?

এক সময় বাংলাদেশের পরিচয় ছিলো ক্রিকেটের আন্ডারডগ হিসেবে। কিন্তু সে বহু দিন আগের কথা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশকে সমীহ করা লোকের সংখ্যা এখন বিশ্বব্যাপী অনেক। কিন্তু তারপরও ক্রীড়া বিশ্লেষকরা বলছেন এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের অন্যতম সহায়ক ছিলো বৃষ্টি আর ভাগ্য। ক্রিকেট ভাষ্যকার শামীম আশরাফ চৌধুরী বলছেন, ‘এটা অবশ্যই বলতেই হবে যে ভাগ্যদেবী প্রসন্ন ছিলো। যেমন অস্ট্রেলিয়ার সাথে যে পরিস্থিতিতে ম্যাচটা ছিলো সেদিন বৃষ্টি না হলে পয়েন্ট ভাগাভাগির কোন সম্ভাবনাই ছিলো না।’ তিনি আরো বলেন, ‘এবার ভরসা ছিলো পুরনো খেলোয়াড়েরাই। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি এটা লক্ষণীয় ছিলো যে নবীনরা যেভাবে গত দু বছর ধরে, ২০১৫ সালের ওয়ার্ল্ড কাপের পর খেলে আসছিলো এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করার দায়িত্ব তাদেরই ছিলো বেশি। কিন্তু প্রবীণরাই খেলে দেখিয়েছে।’ অর্থাৎ নতুন খেলোয়াড়রা এবার ভক্তদের আশা ততটা পূরণ করেন নি। কিন্তু মাশরাফি, সাকিব, মুশফিক বা তামিমের যখন দিন ফুরাবে সে দিনের জন্য বাংলাদেশের ক্রিকেট কতটা প্রস্তুত? সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাসুদ পাইলট বলছেন জাতীয় দলের পাশাপাশি নিয়মিত আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলা একটি এ দল বাংলাদেশের খুবই দরকার। তিনি বলছেন, ‘ঠিক বাংলাদেশ ন্যাশনাল দল যেমন প্রচুর পরিমাণে দেশে-বিদেশে ম্যাচ খেলে বেড়াচ্ছে, সেরকমই একটা ‘এ’ দল থাকা উচিত যারা অন্য দেশের এ টিমের সাথে সিরিজ বা দ্বিপক্ষীয় ম্যাচ নিয়মিত খেলবে। যাতে করে আরো বিশ থেকে ২৫ টা খেলোয়াড়কে চোখের মধ্যে রাখা যায়। তারা যেন জাতীয় দলের কোন খেলোয়াড়ে ইনজুরিতে ভুগলে বিকল্প হিসেবে খেলতে পারে।’ খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, জেলা পর্যায়েও অনেক কার্যক্রম দরকার। বাংলাদেশ ক্রিকেটের এখনো অনেক যায়গা আছে যা ডেভেলপ করা উচিত। একটা এ টিম ছাড়াও সাথে সাথে প্রতিটা জেলায় স্টেডিয়ামের সাথে একটা একাডেমী গড়ে তোলা দরকার। প্রত্যেকটা অঞ্চলের খেলোয়াড়েরাই যেনো ঐ খানেই খেলে বড় হতে পারে। ধরুন প্রতিটা বিভাগে আন্ডার নাইন্টিন টিম বা আন্ডার ফিফটিন টিম থাকবে। সারা বছর তারা ট্রেনিং ক্যাম্প করবে।’ পাইলট বলছেন পাইপলাইনে নতুন খেলোয়াড় থাকলেও তা যথেষ্ট হচ্ছে না। আর সেজন্য বোর্ডকে কিছুটা দুষলেন তিনি। তার মতে, ‘এটা আমাদের খেলোয়াড় নয় আমাদের বোর্ড পেশাদারিত্বের যায়গায় পিছিয়ে আছে। জাতিয় দল ভাল করছে বলে অনেক কিছু ঢাকা পরে যাচ্ছে।’ তবে এখনি আশাহত না হওয়ার কিছু নেই বলছেন শামীম আশরাফ চৌধুরী। তিনি বলছেন, ‘চিন্তিত হওয়ার মতো সময় এখনো আসেনি। মাশরাফি ছাড়া, বাকি চারজন, মাহমুদুল্লাহ রিয়াজ, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, এদের আরো অন্তত চার পাঁচ বছর টপে লেভেলে খেলার ক্ষমতা আছে।’ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটার খুঁজতে কার্যক্রম চলছে পুরো বছর জুড়েই। বোর্ডের প্রধান নির্বাচন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলছেন, ‘আমাদের নানা এজ গ্রুপ আছে। আন্ডার ফিফটিন, সেভেন্টিন, নাইন্টিন। এছাড়া আছে হাই পারফরম্যন্স ইউনিট যাদের প্রিমিয়ার ডিভিশন বা বিপিএল থেকেও নেয়া হয়। এই চারটা জিনিস আমাদের ভবিষ্যৎ খেলোয়াড় তৈরি প্ল্যাটফর্ম। ধরুন আন্ডার নাইন্টিনে যারা ভালো করে তাদের হাই পারফরম্যন্স ইউনিটে নিয়ে আসি। জাতীয় দলে ২৪ জনের যে পুল আছে তাদের কেউ অফ গেলে এই ইউনিট থেকে নেয়া হয়। আরো আছে ডেভেলপিং স্কোয়াড যেখানে দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে জাতিয় দলের জন্য খেলোয়াড়দের প্রস্তুত করা হয়।’ সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ দল কত নতুন প্রতিভা হাজির করতে পারে, সেটা দেখার অপেক্ষায় আছেন দলের সমর্থকরা।

চলতি শতাব্দীর শেষে ইসলাম হবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ধর্ম


ওয়াশিংটন: ইসলাম হচ্ছে পৃথিবীর সর্বাধিক অগ্রসরমান ধর্ম এবং শুধু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতেই নয়, ২০৫০ সাল নাগাদ ইউরোপীয় দেশগুলোতে ১০ শতাংশ মুসলিম বিশ্বাসের অনুসারী হবে বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য ওঠে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক পিউ রিসার্চ সেন্টারের সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় বলা হয়, ২০১০ থেকে ২০৫০ সাল সারা বিশ্বে মুসলমানদের সংখ্যা ৭৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।  একই সময়ে  খ্রিস্টানদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে ৩৫ শতাংশ এবং হিন্দুদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে ৩৪ শতাংশ।

এর মানে হল বর্তমানে ইসলাম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম। চলতি শতাব্দীর শেষ নাগাদ বিশ্বের সর্ববৃহৎ ধর্ম হিসেবে ইসলাম খ্রিস্টানকে ছাড়িয়ে যাবে বলে গবেষণায় অনুমান করা হচ্ছে।
 

কেন এই বৃদ্ধি? এ সম্পর্কে পিউ বলছে, মুসলিম নারীরা গড়ে ৩.১ জন করে সন্তান নিচ্ছে। অন্যদিকে অন্য সব ধর্মীয় গোষ্ঠীর নারীরা গড়ে ২.৩ জন সন্তান নিচ্ছেন।

এই বছরের বার্ষিক জরিপ রিপোর্টের আরো একটি বিষয় ওঠে এসেছে আর তা হল বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের কিভাবে দেখা হচ্ছে সে বিষয়টিও। ২০০২ সালের তুলনায়  বর্তমানে ইসলাম নিয়ে আমেরিকাসহ বিশ্বের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটা বেড়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে,  ৯/১১ হামলার পর ২০০২ সালের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান সমর্থকদের মাঝে মুসলমানদের নিয়ে বর্তমানে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অনেক বেড়েছে। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটদের মাঝে এর বিপরীত চিত্র দেখা গেছে।

ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে মুসলমানরা মুখোমুখি অবস্থা রয়েছে। ট্রাম্প সাম্প্রতি ছয় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের নাগরিকদের দেশটিতে ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যদিও এর বিরুদ্ধে দেশটির দুটি ফেডারেল আদালত সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।

সাগরতলে মিলল যুদ্ধজাহাজের ধ্বংসাবশেষ

[ইন্ডিয়ানাপলিস নামের সেই মার্কিন যুদ্ধজাহাজ। পার্ল হারবারে অবস্থানকালে ১৯৩৭ সালের ছবি এটি। ছবি: এএফপি] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের টর্...